ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ধানশাইল ইউনিয়ন।

উক্ত ইউনিয়নের জনাব রুবেল খান এবং জনাব খোরশেদ আলম দীর্ঘদিন যাবৎ ইলেকট্রনিক্স পন্যের দোকান পরিচালনা করে আসছিলেন। তরুন ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকার মানুষজনের কাছ থেকে অনেক সুনাম কুড়িয়েছেন। ফলাফলস্বরূপ মানুষজনের সাথে চমৎকার সখ্যতা তাদের।

ইউনিয়নের দ্রুতগতির ইন্টারনেট না পাওয়া দীর্ঘদিনের একটি হতাশার গল্প। আর গ্রামের ইন্টারনেট নিয়ে কোন কোম্পানীই বা ভাববে।

একদিন উনারা স্বাধীন ওয়াই-ফাই সাপোর্ট সেন্টার সম্পর্কে জানতে পারেন। নির্দিষ্ট ফরম ফিলাপ করে তিনি অনলাইন মিটিং এ যুক্ত হয়ে কিভাবে সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন করে ইন্টারনেট সাপোর্টের বিনিময়ে স্বাবলম্বী হওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন এবং গ্রাহকদের জন্য  উন্নত সেবা, নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ এবং দূর্দান্ত গতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রাম-বাংলার ইন্টারনেট নামে খ্যাত স্বাধীন ওয়াই-ফাই এর সাথে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি স্বাধীন ওয়াই-ফাই সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সাপোর্টের মাধ্যমে প্রায় অর্ধ-লক্ষাধীক টাকার মতো প্রতিমাসে উপার্জন করছেন পাশাপাশি ৩ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছেন। উনারা যে লক্ষমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, এই বছরের শেষ নাগাদ উপার্জন লক্ষাধীক টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

তিনি জানান যে, স্বাধীন ওয়াই-ফাই এর হটস্পট সেবার মাধ্যমে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা থাকায় মোবাইল ইন্টারনেটের বিকল্প হিসেবে বেশির ভাগ মানুষ স্বাধীন ওয়াই-ফাই ব্যবহার করছে। দ্রুতগতির ইন্টারনেট এবং প্যাকেজ মূল্য হাতের নাগালে ও আনলিমিটেড ডাটার সুবিধা থাকায় স্বাধীন ওয়াই-ফাইকে সবাই খুব চমৎকার ভাবে গ্রহন করে নিয়েছে।

স্বাধীন ওয়াই-ফাই এর একটি অনন্য প্যাকেজ হচ্ছে ফ্রীল্যান্সার প্যাকেজ। ২৪ ঘন্টা এই প্যাকেজের জন্য ডেডিকেটেড সার্ভিসের ব্যবস্থা রয়েছে, যেনো গ্রাম বা মফস্বলে বসে ফ্রীল্যান্সাররা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পান। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলায় ফ্রিল্যান্সার, ই-কমার্স উদ্যোক্তারা ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। এছাড়াও ইন্টারনেটে চালিত ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাহকদের বিনোদনের জন্য সবচেয়ে বড় অন্তরায় এতোদিন ছিলো গতি। সে সমস্যারও চমৎকার সমাধান দিচ্ছে স্বাধীন ওয়াই-ফাই। 

এরকম হাজার হাজার তরুন এবং উদ্যোক্তার পাশে থেকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে স্বাধীন ওয়াই-ফাই, গ্রাম-বাংলার মানুষের ইন্টারনেটের একমাত্র অবলম্বন হতে চায় স্বাধীন ওয়াই-ফাই। যার ফলাফলস্বরূপ ১১৩৯ টি গ্রামে পৌঁছে গেছে স্বাধীন ওয়াই-ফাই এর সেবা।

One Reply to “মোবাইল ইন্টারনেটের বিকল্প স্বাধীন ওয়াই-ফাই”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *