
স্বাধীন-এর স্বকীয়তা কী?
(স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা )
স্বাধীন-এর স্বকীয়তা শুধু একটি ইন্টারনেট সেবায় সীমাবদ্ধ নয়—এটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও ভবিষ্যৎ চিন্তার সাথে গভীরভাবে যুক্ত।
১) স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর মাইক্রোওয়েভ ভাবনার অনুপ্রেরণা
বিশ্বখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম মাইক্রোওয়েভ ও ওয়্যারলেস সিগন্যাল নিয়ে যে পথ দেখিয়েছিলেন, স্বাধীন সেই চিন্তাধারার আধুনিক ও বাস্তব প্রয়োগ করছে। তার দেখানো পথে দাঁড়িয়ে স্বাধীন ওয়্যারলেস ও ফাইবার প্রযুক্তির সমন্বয়ে দেশের মানুষের কাছে সংযোগ পৌঁছে দিচ্ছে।
২) এক আইডি–এক পাসওয়ার্ড, এক নেটওয়ার্ক
বাড়ি, বাজার, গ্রাম বা ইউনিয়ন—স্বাধীন-এর ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে একই আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বড় এলাকা জুড়ে সংযুক্ত থাকা যায়। এটি বাংলাদেশে একেবারেই ব্যতিক্রমী ধারণা।
৩) গ্রামকেন্দ্রিক ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি
স্বাধীন শহরের পাশাপাশি গ্রামবাংলাকে অগ্রাধিকার দেয়—যেখানে প্রযুক্তির ছোঁয়া কম, সেখানে সংযোগ পৌঁছে দেওয়াই স্বাধীন-এর লক্ষ্য।
৪) ১০০% ওপেনসোর্স ও নিজস্ব প্রযুক্তি
বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে স্বাধীন নিজস্ব ডেভেলপ করা, ওপেনসোর্স–ভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবহার করে নিরাপদ ও টেকসই নেটওয়ার্ক তৈরি করছে।
৫) লোকাল ডাটা, বেশি নিরাপত্তা
ডাটা দেশের ভেতরে হোস্ট হওয়ায় লেটেন্সি কম, সিকিউরিটি বেশি এবং ডাটার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে দেশের হাতেই।
৬) সংযোগের সাথে কর্মসংস্থান
ইন্টারনেটের পাশাপাশি স্বাধীন তৈরি করছে
Sales Agent, Support Center, Freelancing, E-commerce—ভিত্তিক আয়ের সুযোগ।
সবচেয়ে বড় স্বকীয়তা
স্বাধীন প্রযুক্তিকে দেখে শুধু ব্যবসা হিসেবে নয়—
একটি বিজ্ঞানভিত্তিক, দেশকেন্দ্রিক ও মানুষকেন্দ্রিক আন্দোলন হিসেবে।
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর দেখানো পথে—
স্বাধীন : একটি নেটওয়ার্ক, অসংখ্য সম্ভাবনা।

