১.স্বাধীন ওয়াই-ফাই এর মাধ্যমে এক পাসওয়ার্ড দিয়েই সব ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা সম্ভব।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে না এই সংখ্যাটা একদম হাতে গোনা কয়েকজনের বেশি হবে না। আর যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের একটা বড় অংশই আছেন কঠিন বিড়ম্বনায়।বিড়ম্বনাটা হচ্ছে,বাসার ভেতর ব্রডব্যান্ড সংযোগের সাথে রাউটার লাগিয়ে ইনডোর ওয়াই-ফাই এর ব্যবস্থা করলেও বাইরে গেলে সে ওয়াই-ফাই কাজ করে না আর তখন আবার মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য ডাটা কিনতে হয়,এমনকি বন্ধু বা আত্মীয়র বাড়ীতে গেলেও সেখানে তাদের কাছ থেকে পাসওয়ার্ড চেয়ে নিতে হয়।এই সমস্যার চমৎকার সমাধান হচ্ছে স্বাধীন ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট। কারন, স্বাধীন ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত যেকোনো ডিভাইস ঘরে,ঘরের বাইরে এবং ঐ এলাকায় বন্ধু-আত্বীয়র বাড়িতে গিয়েও আলাদা করে পাসওয়ার্ড চেয়ে নেয়ার দরকার পড়বে না উক্ত ডিভাইসটি সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হয়ে যাবে।

স্বাধীন ওয়াই-ফাই মানেই, এক পাসওয়ার্ড দিয়ে সব জোনে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা সম্ভব।

২.দেশের সেরা IIG

 স্বাধীন ওয়াই-ফাই বাংলাদেশের সেরা তিনটি IIG( International Internet Gateway) এর সাথে সংযুক্ত। দেশ সেরা ৩টি  IIG এর সাথে যুক্ত থাকায়, যদি কোনো একটি IIG তে কোন ধরনের সমস্যা হলেও বাকী IIG গুলো স্ট্যাবল থাকায় ইন্টারনেট সরবারহ বাধাগ্রস্থ হয় না ও সারা বাংলাদেশে অর্থাৎ শহরে এবং গ্রামে একই মানের ইন্টারনেট সেবা পাবে গ্রাহকরা।

৩.কানেক্টিভিটি 

নিরবিচ্ছিন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করাই হচ্ছে কানেক্টিভিটি। আপনি তখনি একটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে ইন্টারনেট সেবা নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন, যদি সেখানে কানেক্টিভিটির জায়গাটা ১০০% ঠিক থাকে।

ধরুন আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার। রাত ২টার দিকে হঠাৎ করে আপনার ইন্টারনেট লাইনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে যেমনঃ ইন্টারনেটের গতি স্লো হয়ে গেছে কিংবা লাইন ডিসকানেক্ট হয়ে গেছে।এমতাবস্তায় রাত ২টার দিকে আপনার কি করার থাকবে? আপনি সর্বোচ্চ হটলাইনে ফোন দিতে পারেন, বাস্তবতা হচ্ছে রাত ২ টার দিকে আপনার কানেক্টিভিটি সমস্যার সমাধান হবে না।আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার বাঁধাগ্রস্থ হলো।আর যদি এমন হয় যে ইন্টারনেট গতিতে কোন সমস্যারই সৃষ্টি না হয়, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই না থাকে তাহলে কেনো আপনি রিস্ক নিবেন।

দেশ সেরা ৩টি  IIG এর সাথে যুক্ত থাকায়, যদি কোনো একটি IIG তে কোন ধরনের সমস্যা হলেও বাকী IIG গুলো স্ট্যাবল থাকায় ইন্টারনেট সরবারহ বাধাগ্রস্থ হয় না ও সারা বাংলাদেশে অর্থাৎ শহরে এবং গ্রামে একই মানের ইন্টারনেট সেবা পাবে গ্রাহকরা।

ছুটির দিন রাতে আয়োজন করে সিনেমা দেখা বা ফুটবল টুর্নামেন্ট দেখা,প্রবাসী আপনজনদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলা,অনলাইনে ক্লাস করা, ফ্রিল্যান্সারদের বায়ারদের কাজ সাবমিট করার প্রয়োজনগুলোতে দরকার নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা।ভেবে দেখুন একবার জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই মূহুর্তগুলো শুধু ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির জন্য কেনো হারাবেন?

৪.স্ট্যাবিলিটি 

ধরুন, আপনি কোন একটা সেবা নিচ্ছেন। বিভাগ থেকে জেলা থেকে উপজেলা থেকে গ্রাম হয়ে আপনার ঘরে যখন ইন্টারনেট পৌঁছায়, তখন স্বাভাবিক ভাবেই যদি কখনো ইন্টারনেট লাইনে সমস্যা হয় এবং সেই সমস্যার সমাধান দ্রুত গতিতে করা সম্ভব না,বরং সেই ইন্টারনেট সরবরাহ কখনো বিঘ্নিত হবে না যদি সেটা লোকাল কোন সাপোর্ট ব্রাঞ্চ থেকে সরবরাহ করা হয়।

কারন লোকাল ব্রাঞ্চ থেকে ইউজারের দূরত্ব খুব বেশি দূর নয়,এটা নিশ্চিত করা লোকাল সাপোর্ট ব্রাঞ্চের জন্য খুব একটা কষ্ট হয় না যেহেতু ইউজারের নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট নিশ্চিত করার জন্য লোকালি ডেডিকেটেডভাবে সাপোর্ট সেন্টারগুলো কাজ করে থাকে সেহেতু স্ট্যাবল ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা অর্থাৎ,স্বাধীন ওয়াই-ফাই প্রতিটি সাপোর্ট সেন্টার ব্রাঞ্চ থেকে গ্রাহকের বা ইউজারের কানেকশনের জায়গা পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

৫.সর্বোচ্চ সার্ভিস সেবা 

একটা প্রতিষ্ঠানের প্রান হচ্ছে তার সার্ভিস বা সেবা।এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যে প্রতিষ্ঠান পন্য বা সেবা বিক্রির কতগুলো ফিচার বা সার্ভিসের কথা বলে, ইউজার বা ক্রেতা যেনো সেই পন্য বা ক্রয় করার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে।আগ্রহ যারা প্রকাশ করে তার একটা বড় অংশ সেই পন্য বা সেবা ক্রয়ও করে।ঝামেলাটা বাঁধে তখন, যখন কি না কমিটেড সার্ভিসসমূহ,পন্য বা সেবা বিক্রির পর তার ছিঁটে-ফোঁটাও সেখানে পাওয়া যায় না।আর এমনিতেও সিএক্স বা ইউএক্স নিয়ে কাজ করছে বা ভাবছে এই সংখ্যাটাও নগন্য।স্বাধীন ওয়াই-ফাই এই ব্যাপারগুলোতে সব সময়ই অবগত আছেন এবং কিভাবে সার্ভিসের মান আরো উন্নত করা যায় তা নিয়ে প্রতিনিয়ত রিসার্চ বা গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছে।

স্বাধীন ওয়াই-ফাই গ্রাহকের সার্ভিস অর্থাৎ আলাদা আলাদা ব্রডব্যান্ড এবং ওয়াই-ফাই প্যাকেজে যেসব সার্ভিসসমূহ  উল্লেখ করা থাকবে সেগুলো ১০০% নিশ্চিত করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।

৬.দ্রুত সময়ে রেসপন্স

যেহেতু স্বাধীন ওয়াই-ফাই এর প্রতিটি ব্রান্চে লোকাল সাপোর্ট টিম রয়েছে সেহেতু গ্রাহকের যেকোনো সমস্যার দ্রুত রেসপন্সের ব্যবস্থা আছে।

গ্রাহকরা যদি ইন্টারনেটগত কোনো সমস্যায় পড়ে স্বাভাবিকভাবেই সে সমস্যার সমাধান দ্রুত প্রয়োজন হয়ে পড়ে কেননা,ইন্টারনেট যারা ব্যবহার করে থাকে এমনকি সেটা যদি বিনোদনের জন্যও হয়, কোনো সিস্টেমগত ত্রুটির কারনে তা বাধাঁগ্রস্থ হয়, গ্রাহকরা চাইবে যত দ্রুত সম্ভব তা যেনো দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

স্বাধীন ওয়াই-ফাই দ্রুত সময়ে রেসপন্সের ব্যাপারে বদ্ধ পরিকর।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  বিষয় হচ্ছে স্বাধীন ওয়াই-ফাই যেহেতু সার্ভিসকে আউটসোর্সিং করছে সেহেতু উক্ত এলাকাতেই সাপোর্টের টিম থাকে ফলে অনেক দ্রুত সময়ে সমস্যার সমাধান বা রেসপন্সন প্রদান করে থাকে  

৭.উন্নতমানের ডাটা সেন্টার 

স্বাধীন ওয়াই-ফাই এর রয়েছে উন্নতমানের ডাটা সেন্টার যা কি না  সর্বোচ্চ সেবার নিশ্চয়তা দেয়।

৮.গ্রাম-বাংলার সর্ববৃহৎ ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক 

দেশের ইন্টারনেটের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা কয়েক কোটি হলেও তার একটা বড় অংশই হচ্ছে মোবাইল ইন্টারনেট ইউজার।ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা যাও আছে,তার প্রায় পুরোটাই শহরকে ফোকাস করে ডিজাইন করা।সেখানে স্বাধীন ওয়াই-ফাই প্রথম থেকেই গ্রাম-বাংলাকে কেন্দ্র করে পুরো পরিকল্পনা সাজিয়েছে।ইতোমধ্যে গ্রাম-বাংলার মানুষদের জন্য ইন্টারনেট সেবা দিয়ে এবং দিন দিন সাপোর্ট সেন্টার বিস্তৃত করার মধ্য দিয়ে স্বাধীন ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক বর্তমানে গ্রাম-বাংলার সর্ববৃহৎ ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক। 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *