সুফি-সাধকের তীর্থভূমি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকচড়ি একটি অন্যতম উপজেলা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লিলাভূমি এবং পর্যটন স্থান যেমন-হালদা নদী, ভুজপুর রাবার ড্যাম, কৈয়াছড়া চা বাগান, শতবর্ষী বিখ্যাত স্কুল ফটিকছড়ি করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয় এই উপজেলায় অবস্থিত।
তৌহিদ আহম্মেদ জানায়, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর দেশে এসে নিজ বাসভূমে কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে এবং এলাকার মানুষরা যেনো ভালো সার্ভিস নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রকৃত সুফল ভোগ করতে পারে, সে উদ্দ্যেশ্য মাথায় নিয়ে তিনি স্বাধীন ওয়াই-ফাই এর সাথে যুক্ত হন, যুক্ত হয়ে সাপোর্ট সেন্টার নিয়ে কাজ শুরু করেন।
তিনি আরো জানায় যে, বর্তমানে তার আওতাধীন ৪ জন লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এবং এই বছরের মধ্যেই টেকনিক্যাল সাপোর্টের জন্য তিনি আরো কিছু লোক নিয়োগ দিবেন, পাশা-পাশি পর্যটনের জন্য অনেক দূর-দূরান্ত থেকে যখন মানুষজন ভ্রমন করতে সেখানে যায় সবাই খুব নির্বিঘ্নে ওয়াই-ফাই প্যাকেজসমূহ ব্যবহার করতে পারে।
এলাকায় ব্রডব্যান্ড এবং ওয়াই-ফাই হটস্পট ইন্টারনেট সেবা প্রদানের মাধ্যমে এলাকার ছাত্র-ছাত্রী, ফ্রিল্যান্সার, নারী উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল সেবার আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছেন, সাথে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পেরেছেন, একই সাথে তিনি নিজেও হয়েছেন স্বাবলম্বী।
২০২২ সালের শেষ নাগাদ তিনি তার বর্তমান গ্রাহকসংখ্যা কয়েকগুন বৃদ্ধি করার লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে কাজ করছেন, পাশাপাশি গ্রাহকদের আরো উন্নত সেবা, নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ এবং দূর্দান্ত গতির ইন্টারনেট কিভাবে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া যায় সেজন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এরকম হাজার হাজার তরুন এবং উদ্যোক্তার পাশে থেকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে স্বাধীন ওয়াই-ফাই, গ্রাম-বাংলার মানুষের ইন্টারনেটের একমাত্র অবলম্বন হতে চায় স্বাধীন ওয়াই-ফাই। যার ফলাফলস্বরূপ ১১৩৯ টি গ্রামে পৌঁছে গেছে স্বাধীন ওয়াই-ফাই এর সেবা।