ফ্রিল্যান্সিং : ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে ঘরে বসেই কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কাজ করে দেয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন। এখানে কেউ কাওকে স্হায়ীভাবে নিয়োগ দেয়না, নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নির্দিষ্ট সেক্টরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। এই পেশায় নেই ধরাবাঁধা সময়ের বলয়, যেকোনো সময় যেকোন স্থান থেকে কাজ করার মাধ্যমে উপার্জন করা যায় এই সেক্টরে।
বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তির এক সম্ভাবনাময় একটি খাত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রয়োজন অদম্য সাহস ও ইচ্ছাশক্তি, পাশাপাশি ধৈর্য্য ধারন করতে পারলে এটিই হতে পারে ভবিষ্যতের অবলম্বন। এখানে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে কাজ করতে হবে কেননা অগণিত কর্মহীন মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে এই সেক্টরে। নিজেকে প্রতিযোগিতার দৌড়ে এগিয়ে রাখতে পারলেই এখানে কাজ করা সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা বিজনেস প্লাটফর্ম যেখানে অসংখ্য কাজ রয়েছে, আপনাকে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ নির্বাচন করতে হবে। ধরা যাক আপনি একজন কন্টেন্ট রাইটার এবং আপনি কপিরাইটিং এ দক্ষ এক্ষেত্রে আপনাকে যেকোনো একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং সকলকে আপনার নিশ ( যে বিষয়ে কাজ করছেন) সম্পর্কে জানাতে হবে।
পরবর্তীতে আপনাকে যার প্রয়োজন তিনি আপনাকে কাজ দিবেন এবং কাজ কমপ্লিট করে আপনি পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন।
এইযে ঘরে বসে আপনি অন্যের কাজ করে দিয়ে অর্থ উপার্জন করে নিলেন এটিই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যেমন কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও ইডিটিং,আর্কিটেকচারাল ড্রাফটিং,প্রডাক্ট সেলিং ইত্যাদি।
প্রত্যেকেই তার যোগ্যতা অনুযায়ী এখানে মুক্তভাবে কাজ করতে পারে।
এটি চাকরির থেকে আলাদা একটি দিক থেকে তা হলো কাজের স্থান, এখানে আপনি কাজ করতে পারবেন আপনার ঘরে বসে। আর ঘরে বসে করতে পারেন বিধায় কেবল দেশেরই নয় বরং দেশের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় আপনি কাজ করতে পারেন। তবে বিদেশি বায়ারদের সাথে কাজ করতে গেলে প্রয়োজন কমিউনিকেশন স্কিল ও ভালোভাবে ইংরেজি জানা।
ইংরেজি ভাষা রপ্ত থাকলে ফ্রিল্যান্সিং অনেক সুবিধাজনক একটা পেশায় পরিনত হয়।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাপক প্রসার ঘটছে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশের জন্য মুক্তভাবে উপার্জনের এই মাধ্যম আর্শীবাদ সরূপ। আশা করি সেক্টর ভিত্তিক স্কিল ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে তরুণ সমাজ এই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হবে।