স্কিল ডেভেলাপ কেন দরকার?
পাঠ্যপুস্তক কেন্দ্রীক শিক্ষার মতই স্কিল ডেভেলাপ বর্তমান সময়ে আবশ্যক। সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ার পরিকল্পিত লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পরবর্তী সামগ্রিক অর্জনে স্কিলের বিকল্প নেই। যত পরিমাণে স্কিল ডেভেলাপ হবে তত পরিমাণে কাজের পরিধি তৈরী হবে৷
পৃথিবী দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতি মূহুর্তে নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরী হচ্ছে। সেইসব সমস্যার সমাধান ও ক্ষেত্র পরিচালনার জন্য স্কিল সমৃদ্ধ ক্রিয়েটিভ ব্যক্তির অপরিসীম প্রয়োজনীয়তা।
চলমান কর্মজগতের বাজারে স্কিল ডেভেলাপের বাইরে সাধারণ কিছুর উপর নির্ভর করে জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব না। একেকজন একেক ধরনের স্কিল নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে প্রস্তুত, সেই জায়গায় নিজের ভিতরে শূণ্যস্থান নিয়ে দর্শক হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কাজ করতে গেলে দক্ষতক লাগবেই।
1) হার্ড স্কিল 2) সফট স্কিল
এই দুই ধরনের স্কিল ক্যারিয়ারে উন্নতি এনে দেয়।
1) হার্ড স্কিল
যেসব দক্ষতা সুনির্দিষ্ট কাজে প্রয়োগ ও সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব তাই হলো হার্ড স্কিল। যেমন: একজন বাজারকরণের স্টুডেন্টের প্রমোশনাল স্ট্র্যাটেজি জানাটা হার্ড স্কিল।
2) সফট স্কিল
ব্যক্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত দক্ষতাকে সফট স্কিল বলে। নেতৃত্ব গুণ, কোনো সৃজনশীল কাজ, মানসিক চাপ নিয়েও যেকোনো কাজ যত সহজে পারা যায় সম্পন্ন করা, সুন্দর উপস্থাপন করা, এসবই একজন ব্যক্তির ভিতরে থাকা সফট স্কিল।
এই দুই ধরনের স্কিল হলো দুইটা স্বতন্ত্র ধারা। এর বাইরেও বর্তমান প্রযুক্তির বিশ্বে আরো কিছু স্কিল ডেভেলাপ অবশ্য করণীয়। যেমন-
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- SEO
- গ্রাফিকস ডিজাইন
- ওয়েব ডিজাইন
- গেম ডেভেলপমেন্ট
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- ভিডিও মার্কেটিং
- কন্টেন্ট রাইটিং
এসব স্কিল নিজের ভিতরে কর্মক্ষেত্রে আলাদা সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে এসব স্কিল উন্নতির পথে অভাবনীয় ভূমিকা রাখে।
সফলতার মূল চাবিকাঠি হলো দক্ষতা। দক্ষতা অনুযায়ী পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। যে বিষয়ে জ্ঞান শূন্য তা নিয়ে রাতদিন ছোটাছুটি করলেও পরিশেষে ফলাফলও জ্ঞানের মত শূণ্যই হয়ে থাকবে। স্কিল, সার্টিফিকেট শিক্ষার মত মুখস্থ বিদ্যার অধীন না, স্কিল নিজের ভিতর থেকে অর্জন করে নিতে হয়। নিজেকে জানতে হয়, বুঝতে হয় যে কোন বিষয়ের দক্ষতা অর্জন নিজেকে কোন জায়গায় নিয়ে দাঁড় করাবে। স্কিল নিয়ে নিত্য অনুশীলন করতে হবে, তাহলেই এক পর্যায়ে স্কিল ডেভেলাপ হয়ে কর্মজগত ও উপার্জনে নিজের অবস্থানকে স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
বিশ্ব বাজার বেশ কঠিন অবস্থানে আছে। দিন দিন প্রতিযোগিতা বাড়ছে। ব্যক্তি পর্যায়ের প্রতিযোগিতা আস্তে আস্তে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে। সেই প্রতিযোগিতায় নাম লেখানো কর্ম যজ্ঞে ঠাঁই নেওয়ার জন্য স্কিল ডেভেলাপই অনস্বীকার্য মূলধন৷ যে মানুষ যে বিষয় দক্ষতা অর্জন করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রেখে কাজ করে যেতে পারে তারই ব্যক্তি জীবন, সামাজিক জীবন, আর্থিক নিরাপত্তা সবি উজ্জ্বল অবস্থানে চলে যায়। সেই নিরিখে স্কিল ডেভেলাপের কার্য ক্ষমতা আকাশচুম্বী হয়ে আছে।