চট্টগ্রাম জেলার বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের একটি জেলা হচ্ছে ফেনী। ফেনী জেলার ফেনী সদর উপজেলাটি পাগলা মিঞাঁর মাজার, বিজয় সিংহ দীঘি, রাজাঝীর দীঘি এবং শর্শাদী শাহী মসজিদ পর্যটনের জন্য বিখ্যাত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধেও এই জেলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো।

 

ফেনী সদরে এমডি সায়েদুজ্জামান জানান যে, দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল রিচার্জ এবং মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসার সাথে জড়িত। দীর্ঘদিন এই ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন বিধায় প্রতিদিন ইন্টারনেটের জন্য মোবাইল রিচার্জ করতে আসা একটা বড় অংশ কাস্টোমারের সাথে উনার কথা-বার্তা হয়। ইন্টারনেটের জন্য মোবাইল রিচার্জ বাবদ খরচ তার বিপরীতে যে ডাটা মোবাইল অপারেটর কোম্পানীগুলো সরবরাহ করে তা সত্যিকার অর্থেই নগন্য। 

 

উনি ব্যাপারটা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনা করতে থাকেন। এমডি সায়েদুজ্জামান স্বাধীন ওয়াই-ফাই সম্পর্কে জানতে পারেন এবং আগ্রহী হয়ে, অনলাইনে একটি বিজনিস মিটিং এ যোগ দেন এবং স্বাধীন ওয়াই-ফাই বিজনিস এক্সিকিউটিভ প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পুরো বিজনিস প্রসেসটি বুঝিয়ে বলেন এবং উনি সিদ্ধান্ত নেন ,সাপোর্ট সেন্টার পরিচালনা করার।

 

গ্রাহকদের  উন্নত সেবা, নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ এবং দূর্দান্ত গতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রাম-বাংলার ইন্টারনেট নামে খ্যাত স্বাধীন ওয়াই-ফাই এর সাথে কাজ শুরু করেন তিনি।

 

বর্তমানে ওয়াই-ফাই হটস্পট গ্রাহক ছাড়াও ব্রডব্যান্ড গ্রাহক নিয়ে উনি চমৎকার ভাবে ইন্টারনেট সাপোর্ট দেয়ার মাধ্যমে প্রতিমাসে তিনি স্বচ্ছল উপার্জন করছেন। পাশাপাশি ৬-৭ জন লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

 

তিনি আরো জানান, এলাকায় কিছু ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষিত তরুন খুব কম মূল্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধার পাশাপাশি  স্বাধীন ওয়াই-ফাই ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং নিয়ে তাদের অনেকেই আজ ফ্রিল্যান্সিং করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। পাশাপাশি একে অন্যকে শিখিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলছে। স্বাধীন ওয়াই-ফাই এর একটি 

প্যাকেজই ডিজাইন করা হয়েছে ফ্রীল্যান্সারদের জন্য। প্যাকেজটির নাম ফ্রিল্যান্সার প্যাকেজ। ২৪ ঘন্টা এই প্যাকেজের জন্য ডেডিকেটেড সার্ভিসের ব্যবস্থা রয়েছে, যেনো গ্রাম বা মফস্বলে বসে ফ্রীল্যান্সাররা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পান।

 

মোবাইল হটস্পট ব্যবহার করে স্বল্পমূল্যে সাধারন মানুষ প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন। পাশাপাশি ফ্রীল্যান্সার, ই-কমার্স উদ্যোক্তা,অনলাইন ক্লাস এবং বিনোদনের জন্য স্বাধীন ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

 

এরকম হাজার হাজার তরুন এবং উদ্যোক্তার পাশে থেকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে স্বাধীন ওয়াই-ফাই, গ্রাম-বাংলার মানুষের ইন্টারনেটের একমাত্র অবলম্বন হতে চায় স্বাধীন ওয়াই-ফাই। যার ফলাফলস্বরূপ  ১১৩৯ টি গ্রামে পৌঁছে গেছে স্বাধীন ওয়াই-ফাই এর সেবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *