ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন
ইন্টারনেট,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানবজীবনে এসেছে আমূল-পরিবর্তন।এই পরিবর্তনের প্রভাবে দিন বদলের জয়গানে পল্টে গেছে জনজীবন,সভ্যতা-সংস্কৃতি,সমাজ এবং দেশ।এখন মানুষ ঘরে বসে নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে নিজের প্রতিভা বিকশিত করে আয় করছে।
স্বাধীনভাবে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় বসে ইন্টারনেটের সাহায্যে অনলাইনে আয় করার একটি মাধ্যম হচ্ছে- ফ্রিল্যান্সিং।
এখন আপনি ভাবছেন ফ্রিল্যান্সিং কি?
ফ্রিল্যান্সিং কি?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন বা মুক্তপেশা।এটি ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে করতে হয়।
কিভাবে?
১.আপনার কাছে থাকা কোনো ডিভাইস দিয়ে।
২.ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে।
৩.বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে।
৪.একটি টপিক সিলেক্ট করে,ফোকাস করে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করে একাউন্ট খুলে কাজ করতে পারবেন।
কেন করবেন?
১.স্বাধীনভাবে নিজের মতো করে করতে পারবেন।
২. নির্দিষ্ট কোনো অফিস টাইম নেই।
৩.প্রতিদিন নতুন কিছু করায় বিরক্তিকর নয়।
৪.বাসায় বসে পরিবারকে সময় দিয়েও করা যায়।
৫.ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন।
৬.মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকবেন এবং অর্থ আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
যেসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো পাওয়া যায় বা কাজ করবেন,যেমন-
১. আপওয়ার্ক।
২.ফাইবার।
৩. গুরু ডটকম
৪.ফ্রিল্যান্সার ডটকম
৫. পিপল।
৬.৯৯ ডিজাইন
যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় কাজ রয়েছে। আপনি এগুলো সম্পর্কে দক্ষ থাকলে যে কোনো একটি বিষয় সিলেক্ট করে কাজ করতে পারবেন। কাজগুলো হলো-
১. ডাটা এন্ট্রি
২. গ্রাফিক্স ডিজাইন।
৩. ডিজিটাল মার্কেটিং।
৪. ওয়েব ডিজাইন।
৫. লোগো ডিজাইন।
৬.ভিডিও এডিটিং।
৭. কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধার কথা বলতে গেলে সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে কাজের স্বাধীনতা।পরিবারকে সময় দিয়ে নিশ্চিন্তে নিজের মতো একটি সুন্দর রুটিন করে কাজ করা যায়।সব সুবিধার মধ্যে অসুবিধা হচ্ছে দক্ষ হতে নিজেকে কাজের জন্য তৈরি করে ফ্রিল্যান্সার হতে একটু সময় লাগবে।তাছাড়া অনলাইনে প্রোফাইলে এ্যাকটিভ না থাকলেও আপনাকে বিভিন্ন অসুবিধায় পরতে হবে।
পার্ট-টাইম আর ফুল-টাইম,পেশাগত জীবন বা চাকুরি জীবন অতিবাহিত করতে মোটামুটি সবারি পছন্দের সেক্টর হচ্ছে–ফ্রিল্যান্সিং।কেননা এই সেক্টরটিতে ইচ্ছেমতো কাজ করার স্বাধীনতা আছে।
সবশেষে,ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি–”ইচ্ছেঘুড়ি।”যেখানে নিজের ইচ্ছেমতো চালা যায়,গোছানো যায়,কাজ করা যায়।দক্ষতার যতো উন্নতি হবে কাজের অবস্থান ততো বাড়তে থাকবে।নিজের প্রতিভা দিয়ে কাজ করে উপার্জন করে নিজের,পরিবারের, সমাজের ও দেশের কল্যাণে কাজ করা যায়।