ক্যারিয়ার হোক মোশন গ্রাফিক্সে 

গ্রাফিক ডিজাইনের এক অনন্য সংযোজন হলো মোশন গ্রাফিক্স। বর্তমানে প্রযুক্তি উন্নয়নের ফলে ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে গ্রাফিক ডিজাইনারগণ শতভাগ নিখুঁত ডিজাইন করতে পারেন। এরকম নির্ভুল,আধুনিক,জনপ্রিয় গ্রাফিক ডিজাইনের এক মাধ্যম হলো মোশন গ্রাফিক্স।

ইংরেজী Motion শব্দের অর্থ হলো গতি। অর্থাৎ বড় বা জটিল ধারণাগুলো যখন স্থির কোন চিত্র বা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে তখন মোশন গ্রাফিক্স মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গতি চিত্রের সাহায্যে ঐ সব জটিল বিষয় খুব সহজভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে।

এক কথায় বলতে পারি কোন আকার(Shape) , বস্তু/বিষয়(Object) এবং লেখা/পাঠ(Text) কে যখন মুভ করানো হয় তখন তাকে মোশন গ্রাফিক্স বলে।

মোশন গ্রাফিক্স অনেক ধরণের হতে পারে-

১. ব্যাখ্যামূলক ভিডিও

২. UI অ্যানিমেশন

৩. ডুডলস

৪. ডায়নামিক লোগো

৫. ডায়নামিক আইকন

৬. অ্যানিমেটেড পৃষ্টার  শিরোনাম

৭. অ্যানিমেটেড ইনফো গ্রাফিক্স

৮. প্রেজেন্টেশন

৯. GIF ইত্যাদি

মোশন গ্রাফিক্সের মাধ্যমে সহজেই জটিল কোন ধারণাকে ভিজ্যুয়ালাইজড করা যায় ফলে মানুষ খুব সহজেই বিষয়গুলোকে মনে রাখতে পারে। এজন্যই মোশন গ্রাফিক্সকে বলা হয় ভিজ্যুয়াল এইড।

মোশন গ্রাফিক্সের মাধ্যমে শুধুমাত্র আউটলাইন তৈরি করে যেকোন বিষয়কে উপস্থাপন করা যায়।এর জন্য বড় কোন দৃশ্য তৈরির প্রয়োজন পড়ে না।

ফরমাল কাজে অ্যানিমেটেড ডিজাইন বা কার্টুন ব্যবহার দৃষ্টিকটু বলে সকলেই গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রথম পছন্দে রাখেন।

বাস্তবসম্মত চিত্র তৈরি করার জন্য মোশন গ্রাফিক্স কিছুটা পিছিয়ে আছে। এক্ষেত্রে অ্যানিমেশন সবচেয়ে এগিয়ে। মোশন গ্রাফিক্সের মাধ্যমে 2D ডায়মেশন করা যায় কিন্তু 3D ডায়মেশন করা যায় না।

আপনি যখন নিজেকে অনলাইন বেইজড প্লাটফর্মে যুক্ত করতে চাচ্ছেন তখন মোশন গ্রাফিক্স হতে পারে আপনার অন্যতম ক্যারিয়ার অপশন।

বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বে মোশন গ্রাফিক্স এতটাই জনপ্রিয় যে এর জন্য সৃষ্টি হয়েছে আলাদা কর্মক্ষেত্র ও পেশা। আমরা অনায়াশে মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে দক্ষতা অর্জন করে আমাদের কর্মপরিধিকে আরও বৃদ্ধি করতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *